তালতলী প্রতিনিধি ্॥ বরগুনার তালতলীতে অবৈধ ইটভাটার করণে একটি সড়কের স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ ২০হাজার মানুষের ভোগান্তি পড়তে হয় বর্ষার সময়। এমন অভিযোগ এনে ও সড়কটি পাকা করনের দাবিতে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সড়কটি পাকা করার আশ্বাস দেন। সোমবার (১৫জুন) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার পূর্ব ঝাড়াখালী নামন স্থানে সড়কে মানববন্ধন করেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব ঝাড়াখালী এলাকায় হোছেন ব্রিকস আমতলী(এইচবিএ) নামের একটি নিবন্ধনহীন ইটভাটা স্থাপন করেন মো.হোছেন নামের এক ব্যক্তি। এই ব্রিকসটির শুরু থেকে এলাকার পরিশের ক্ষতির কথা চিন্তা করে এটায় বাধা দেন স্থানীয়রা। সেই বাঁধা উপেক্ষা করে ওই অবৈধ ইটভাটা স্থাপন করেন হোছেন। পাশাপাশি স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ ছয়টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাটির সড়ক দিয়ে ওই ইটভাটার মালামাল নেওয়ার জন্য ট্রাক ও মাহিদ্রা চলাচল করতে থাকে। এতে করে সড়কটির বর্ষার সময় মানুষের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে । ভোগান্তিতে পড়ে ওই সব এলাকার সাধারণ মানুষের জনজীবন। এদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সড়কটি পাকা করণের আশ্বাস দিয়েছেন। মানবন্ধনে একাধীক এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই ইটভাটার কারণে এই সড়কটি দিয়ে চলচল করতে পারছিনা। এই সড়ক দিয়ে আমাদের প্রতিদিন জীবনজীবিকার তাগিদে ছুটে চলতে হয়। এই বর্ষার সময় আমাদের সবকিছু থেমে যায়। তাই প্রশাসনের কাছে
দাবি ইটভাটা বন্ধ করে এই সড়কটি পাকা করে দেয় তাহলে ২০ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র উপায় হবে। সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মো. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিভিন্ন সময়ে এই অবৈধ ইটভাটার বিষয়ে প্রশাসনের বলেও কোনো সমাধান পাইনি।এখন ২০ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে আছে। এই সড়কটি পাকা করে দিলে ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
মানবন্ধনে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বারেক মাঝি অভিযোগ করে বলেন, এই মাটির সড়কটি দিয়ে এ এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষের চলাচল। এই ইটভাটার ট্রাক-মাহিদ্রা চলাচলের কারণে সড়কটি এখন বেহাল দশা। প্রশাসনের দাবি জানাচ্ছি যাতে এই রাস্তাটি পাকায় হয়। এবিষয়ে হোসেন ব্রিকস আমতলী(এইচবিএ) মালিক মো.হোসেন বলেন সড়কটি মানুষের চলাচলের জন্য প্রায় ১ লাখ ইট দেওয়া হয়েছে।যাতে করে ট্রাক-মাহিদ্রা চলাচলে কোনো ক্ষতি যাতে না হয়। তালতলী প্রকৌশলী আহম্মেদ আলী বলেন, খোঁজখবর নিয়ে সড়কটি খুব দ্রুত পাকা করণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হবে। এবিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সড়কের ক্ষতি করে কোনো ইটভাটা চলতে পারবেনা। সাধারণ মানুষ তাদের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে লিখত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply